চাকরির খবর মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৬New জেলার চাকরি রেজাল্ট স্কলারশিপ সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সিলেবাস পরীক্ষার তারিখ
Focus

WBSSC শিক্ষক নিয়োগের নিয়মে বিরাট পরিবর্তন, বিস্তারিত জানুন

নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুল অর্থাৎ উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আমুল পরিবর্তন আনলো রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)। এবার থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থাকছে না। ২০১৫ সাল পর্যন্ত যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তাতে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর ধরে মোট ১০০ নম্বর ধার্য করা থাকতো। তার মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং নবম থেকে দ্বাদশে ৫৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হতো। তবে এবার থেকে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে মোট ৩৫০ নম্বরের।WBSSC

নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, এবার থেকে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক প্রার্থীদের ১৫০ নম্বরের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পরীক্ষা দিতে হবে। আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে ১৫০ নম্বরের প্রিলিমিনারি টেস্ট বা পিটি দিতে হবে। প্রথম ধাপের এই ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে mcq টাইপের। কিন্তু ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হলেও ১০০ নম্বরের ওপর ভিত্তি করেই নম্বর (শতাংশ হার) দেওয়া হবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে পাস করতেই হবে। অন্যথায় দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না চাকরি প্রার্থীরা।

দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ২০০ নম্বরের। ৫০ নম্বরের ইংরেজি, এবং প্রার্থী যে ভাষায় পড়াবেন বা শিক্ষকতা করবেন তাতে থাকবে ৫০ নম্বর। এছাড়াও শিক্ষক প্রার্থী যে বিষয়ের জন্য আবেদন করবেন, সেই বিষয়ের জন্য রয়েছে ১০০ নম্বর। সুতরাং, প্রথম ধাপে ১০০ নম্বর, এবং দ্বিতীয় ধাপে ২০০ নম্বর মিলিয়ে মোট ৩০০ নম্বরের উপর ফাইনাল মেরিট লিস্ট তৈরী করা হবে। এবার থেকে থাকছে না কোন ইন্টারভিউ, থাকছে না কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার মানের ওপর নম্বর। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া তোলা, অনেকেই সমর্থন করলেও শিক্ষাগত যোগ্যতার মানের উপর নম্বর উপেক্ষা করা হলো কেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

WBSSC

Leave a Comment

Home Breaking E - Paper Video Join